বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মো. আবু জাফর বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, এমন আশ্বাসে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এরপরও যদি দেখেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না বা নির্বাচনের পরিবেশ নেই, তাহলে বিএনএম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে।
ফরিদপুরের মধুখালীতে দলের বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন আবু জাফর। শনিবার বেলা তিনটার দিকে মধুখালীর বনমালিদিয়া মহল্লায় এ আয়োজন করা হয়। তিনি ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এ আসন থেকে তিনি এবার বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। বিএনএমে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
কিংস পার্টি নামে পরিচিত এ দলটির পেছনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে বলে আলোচনা আছে। বর্ধিত সভায় আবু জাফরের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক গোলাম মনসুর সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন সৈয়দ আবুল বাশার, শাহ মুহাম্মাদ খৈয়ম, খন্দকার মো. ওবায়দুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মালেক, জাফর সরদার, তাহমিনা জাফর, শাহজাহান মাস্টার প্রমুখ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে বোয়ালমারী উপজেলা সদরের কলেজ রোডের নিজ ভবনে আরেকটি মতবিনিময় সভা করেন আবু জাফর। আবু জাফর এ সময় বলেন, ‘সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে আমাকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে যে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। যাকে খুশি তাঁকে ভোট দেওয়া যাবে। তাই আমি বিএনএমের দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচনে এসে আমি সেই রকম পরিবেশ দেখছি। মানুষের ভয়ভীতি কেটে গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাফর দাবি করেন, বিএনপির ৮৫ শতাংশ লোক তাঁর সঙ্গে আছেন। তাঁরা নীরবে তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাফরের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি (শাহ জাফর) যে ৮৫ শতাংশ নেতা-কর্মীর কথা বলেছেন, তা সঠিক নয়। তবে বিএনপির একটা অংশ তাঁর পক্ষে কাজ করছে, এটা ঠিক।
শাহ্ মো. জাফরের সমর্থকেরা বলেন, ফরিদপুর-১ আসন থেকে আবু জাফর একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২০ নভেম্বর তিনি বিএনপি ত্যাগ করে নবগঠিত বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। বিএনএমে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
প্রথম আলো