কুষ্টিয়া অফিসঃ কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের ৬৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।মামলায় ২৬ জনের নামউল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ চন্দ্র বাছাড়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া মধ্যপাড়ার মৃত জয়েন উদ্দিন মালিথার ছেলে মাহবুবুর রহমান (৪৫), একই এলাকার বজলু মন্ডলের ছেলে একতিয়ার হোসেন (২৮), শশীধরপুর প্রামানিক পাড়ার মৃত কালু মন্ডলের ছেলে আকিজ আলী (৪০)।
এ মামলার পলাতক অপর আসামিরা হলেন, আদাবাড়িয়া মালিথাপাড়ার মকবুল ইসলামের ছেলে বেনজির আহম্মেদ বাচ্চু (৪১), দৌলতপুর উপজেলা পাড়ার আকবর আলীর ছেলে করনেল (৩১), একই এলাকার কালুর ছেলে আরজু (২৬), স্বরুপপুর এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে আসতুল সাগর (৩৫), হোগলবাড়ীয়া এলাকার মৃত আহসানুল হক পঁচা মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লা (৫৭), সিতলাইপাড়ার তোফাজ্জল আলীর ছেলে মাসুদ পারভেজ (৩৮), একই এলাকার রহিম উদ্দিনের ছেলে বজলু(৩৮), জামালপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে সবোয়ান জাহান বেনগু(৩৩), দৌলতখালী সরদারপাড়ার খেড়ু সরদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৯), তারাগুনিয়া এলাকার আলম মোল্লার ছেলে শিপুল মোল্লা (৩০), বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত শফিউর রহমানের ছেলে রেজাউল (৫৫), হোসেনাবাদ বাজার পাড়ার তোফাজ্জেল হকের ছেলে বাহারুল ইসলাম (৪৬), মিরেরপাড়া কাশেমবাজার এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৮), মিরপুর আল্লারদর্গা এলাকার মৃত মোতালেব লস্করের ছেলে মনি লস্কর (২৮), ময়রামপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে আসিফ হোসেন (২৮), স্বরুপপুর এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে শের আলী (৫৫), চামনাই সেন্টার মোড় এলাকার মৃত ফেলু হালসানার ছেলে সুজন হালসানা (৩৬), সংগ্রামপুর গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে শামীম রেজা (৪৪), হরিণগাছি গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (৪৬), রিফায়েতপুর বাজারপাড় এলাকার টুলু বিশ্বাসের ছেলে রিমন বিশ্বাস (২৮), গাছের দিয়াড় গ্রামের নিজাম আলীর ছেলে ছোটন (৩২), হরিণ গাছি এলাকার রহমত মন্ডলের ছেলে রনি ইসলাম (২৬) এবং একই এলাকার ছমির মন্ডলের ছেলে মুনা (৩৫)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া বাজারের হোন্ডার শোরুমের সামনে নাশকতা সৃষ্টির জন্য রাস্তা অবরোধ করে গাড়ী চলাচলের প্রতিবন্ধকতাসহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌলতপুর থানার পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থানরত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দিকবিদিক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় তিন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ টুকরা বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ (লাল টেপ ও টিনের টুকরা), ১০ টি বিভিন্ন সাইজের লাঠি, ০৮ টি বিভিন্ন সাইজের লোহার রড , একটি প্লাষ্টিকের বস্তায় রক্ষিত অসংখ্য ইটের ভাঙ্গা অংশ, দুটি লোহার তৈরী সাবল ও টায়ারের পোড়া অংশ।
কুষ্টিয়া জেলা ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপি নেতারা যখন মাঠে নামছে, তখনই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
দৌলতপুর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ চন্দ্র বাছাড় বলেন, ২৬ জনের নামউল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।