BDBanglaNews is a popular online newspaper

    আহত সাদেক আলী

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    হত্যা মামলা তুলে না নেয়ায় বাদির পরিবারকে বেধড়ক মারধর করেছে হত্যা মামলার আসামিরা। এঘটনায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আহতরা হলেন, কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ভেদামারি এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬০), সাদেক আলী (৫০) ও সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ইনসান নেছা (৫০)।

    আহতরা জানান, গত শনিবার (১৩ই জানুয়ারি ২০২৪) সন্ধ্যার পর ভেদামারি এলাকার আনসারের ছেলে এলাকার হাসিবুল (৩৫), রওশন মেকারের ছেলে রশিদ (৪৫) ও রিপন (২৮), মৃত মোশাররফের ছেলে ওহিদ (৪০), আমানতের ছেলে একরামুল (৫০), আয়াত আলীর ছেলে ফজল (৩৫), জাহান আলীর ছেলে মতিয়ার (৩৫), মৃত মান্নানের ছেলে জহুরুল (৪৫) সহ অজ্ঞাত আরো সাত আট জন রড ও দেশীও অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগন তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 

    এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আহত সিরাজুল ইসলাম জানান, তার বড় ভাই মৃত আবু জাফর ২০১১ সালের কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ভেদামারি এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের রানিং মেম্বার থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে, যে কারনে আবু জাফরের পরিবার বাদি হয়ে তখন মামলা করেন। যার মামলা নাম্বার- ৬৮৬/১৩। সেই মামলায় আসামি করা হয় জহুরুল,  মোশাররফ,  একরামুল, ফজলকে। বর্তমানে মামলাটি মহামান্য হাই কোর্টে চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল মামলার আসামিগন। কিন্তু আবু জাফরের পরিবার রাজি না হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইনসান নেছা, সাদেক আলী ও সিরাজুল ইসলাম কে বেধড়ক ভাবে পিটিয়েছে। আবু জাফরের ছোট ভাই জানান তিনি তার ও তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর ভাবে শঙ্কিত। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

    মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সেখানে পুলিশ গিয়েছিলো। এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কোনো এজাহার জমা দেয়নি। এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    Spread the love