BDBanglaNews is a popular online newspaper

    ত্রিশ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। যশ চোপড়া পরিচালিত সেই সিনেমা ‘ডর’ দিয়ে শাহরুখ খানের ক্যারিয়ার পেয়েছিল নতুন গতি। ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর বড়দিনের উৎসবে মুক্তি পাওয়া ছবিটি ব্যাপক ব্যবসাসফলও হয়। তবে সিনেমাটির একটি অজানা দিন জানলে আপনি অবাক হবেন। কী সেটা? পিংকভিলা ও আইএমডিবি অবলম্বনে সেটাই জেনে নেওয়া যাক। ১৯৯৩ সালে শাহরুখের ক্যারিয়ার মাত্র শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সানি দেওল ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা। শাহরুখ ও সানি দুজনকেই ছবিতে দেখা যায়। তবে শাহরুখ করেন সিনেমাটির প্রধান খল চরিত্র রাহুল মেহরা।যদিও চরিত্রটিতে অভিনয় করতে পারতেন সানি নিজেই। কারণ, পরিচালক যশ চোপড়া সানি দেওলকে সিনেমাটির দুটি চরিত্র সুনীল মালহোত্রা ও রাহুল মেহরার যেকোনো একটি বেছে নিতে বলেন। বল পুরোপুরি সানির কোর্টেই ছিল। সানি স্বভাবতই নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি, তিনি বেছে নেন সুনীল চরিত্রটি। ভেবেছিলেন চরিত্রটিতে অভিনয় করলে তাঁর ক্যারিয়ার আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো।মুক্তির পর শাহরুখ অভিনীত চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তারকা হওয়ার পর একধাপ এগিয়ে যান অভিনেতা। ‘ডর’ হলো সেই বিরল হিন্দি সিনেমা, যেখানে নায়কের চেয়ে খলনায়ক বেশি সমাদৃত হয়েছে। তাই পেছন ফিরে দেখলে সানি নিজেকে এ প্রশ্ন করতেই পারেন, শাহরুখকে রাহুল হতে দিয়ে তিনি কি ভুল করেছিলেন?তবে শাহরুখও কিন্তু এই রাহুল চরিত্রে সহজে রাজি হননি। শুরুতে তো চরিত্রটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় অজয় দেবগনকে। কিন্তু অভিনেতা তখন অন্য একটি সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত, স্বভাবতই যশ চোপড়ার প্রস্তাব রাখতে পারেননি।অজয়ের পর চরিত্রটির জন্য যশ চোপড়ার দ্বিতীয় পছন্দ ছিলেন আমির খান। কিন্তু তিনিও পত্রপাঠ ছবিটির প্রস্তাব ফিরিয় দেন। কারণ, যশ চোপড়ার আগের সিনেমা ‘পরম্পরা’তে তিনি অভিনয় করেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, সিনেমাটিতে পরিচালক তাঁর চরিত্রটির প্রতি সুবিচার করেননি।

    অজয় ও আমিরকে না পাওয়ায় ছবিটির প্রস্তাব যায় শাহরুখের কাছে। খল চরিত্র ভেবে তিনিও শুরুতে রাজি হননি। পরে পরিচালক ও প্রযোজকের পীড়াপীড়িতে রাজি হন। বাকিটা তো ইতিহাস।

    ‘ডর’-এ নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জুহি চাওলা।

    প্রথম আলো

    Spread the love