আশরাফুল আলমঃ
ঝিনাইদহে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় বরুণ ঘোষ হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে শহরের হামদহ, ব্যাপারীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ঘোষপাড়া এলাকার কার্তিক ঘোষ ও তার ছেলে কল্লোল ঘোষ, কামাড়কুণ্ডু এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন, হামদহ এলাকার তফসের হোসেনের ছেলে আইয়ুব আলী, ইসলামপাড়ার ডাবলু মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া, ব্যাপারীপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে মুন্না ও রমজান আলীর ছেলে হাতকাটা তরুণ।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আব্দুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী বরুণ ঘোষ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় সাতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার রাতে নিহত বরুণ ঘোষের স্ত্রী বাদী হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৯-১০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বরুণ কুমার ঘোষ শহরের ঘোষপাড়া এলাকার নরেন ঘোষের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরুন ঘোষ বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘোষপাড়া ব্রিজ মোড় এলাকার একটি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত হামলা করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বরুন ঘোষ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনের পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থক ছিলেন।