নিউজ ডেস্ক,বিডি বাংলা নিউজ ২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের রক্তের দাগ না মুছতেই রাজধানীতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা বিক্ষোভ মিছিল করছে তারা।
মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকের বিরুদ্ধেই ছাত্র-জনতা হত্যার মামলা রয়েছে।এসব মিছিল ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কড়া নির্দেশ দিলেও খুব একটা কাজে আসছে না।
ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির উপকমিশনারদের (ডিসি) বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম অফিসাররা যে যে বিষয়ে দক্ষ তাকে সেই বিষয়ে কাজ করাতে হবে। ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের উদ্দেশে কমিশনার বলেছেন, আপনারা আরেকটু সচেতন ও সহনশীল হবেন।
হুটহাট রিকশা ড্রাইভারকে মারধর করবেন না। তারা অন্যায় করলে প্রসিকিউশন করেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অবশ্যই মানবিক আচরণ করবেন।ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ওসিদের উদ্দেশে বলেছেন, আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে। কোনো ঘটনা আড়াল করা যাবে না।
মামলার রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরাধ যাতে না ঘটে তার জন্য প্রতিরোধমূলক পুলিশি কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বিনয়ী থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই দৃষ্টিকটু ও অপেশাদার আচরণ করা যাবে না। ডিএমপির প্রতিটি থানার ওসিকে মামলা তদন্ত করতে হবে। থানা এলাকার প্রতিটি ভবনের সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে থানার টহল টিমের সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করতে হবে।