
নিজস্ব প্রতিবেদক,বিডি বাংলা নিউজ ২৪
বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন কুষ্টিয়া পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। রোববার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পৌরসভা ভবনের প্রধান গেটে ময়লা-আবর্জনা ফেলে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানান, কুষ্টিয়া পৌরসভায় বর্তমানে প্রায় ৪৮০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কর্মরত রয়েছেন। একজন দিনমজুরের দৈনিক মজুরি নির্ধারিত থাকলেও, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দিনের পর দিন ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিশ্রমসাধ্য কাজ করেও মাত্র ২৭৫ টাকা হাজিরা পাচ্ছেন। যেখানে বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি হিসেবে একজন সাধারণ শ্রমিক পান ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. দৈনিক হাজিরা ২৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকায় উন্নীতকরণ,
২. চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া শুরু,
৩. মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট তারিখে বেতন পরিশোধ।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানান, এর আগেও এসব দাবি নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে এবং তারা আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আশ্বাসই বাস্তব রূপ নেয়নি।
এক কর্মী বলেন, “আমরা ময়লা পরিষ্কার করি, শহর পরিষ্কার রাখি। অথচ আমাদের ন্যায্য মজুরি পর্যন্ত দেওয়া হয় না। পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা খাবার তোলাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।”
প্রতিবাদের অংশ হিসেবে পৌরসভার গেটে ময়লা ফেলে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও পরিচ্ছন্নতার কাজে স্থবিরতা দেখা যায়।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
পৌর নাগরিকরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শহরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা।
বিডিবিএন২৪/আরডি

